back | |
Some Sample Texts for Study |
|
1.
http://www.sachalayatan.com/manik061624/14163বৈশাখ ও ঝড় : রবীন্দ্র -নজরুল কাব্যে -একটি খসঁড়া লেখা
বৈশাখ
পুরাতনের বিদায় ও নবীন বরণ মাস । বৈশাখ আসে ঝড় নিয়ে, বিদায় হয় ধবংসের
সহযাত্রী হয়ে । বৈশাখ সাহসী, ক্ষ্যাপা,বৈরী , অশান্ত, অসীম, মারমুখো,
নির্দয়।কিন্তু তার সৃজনক্ষমতা শিল্পীর সুনিপুন সৌকর্যকে হার মানায়, তার
নতুন করার পালা তার নবায়নী ধারা প্রকৃতির সকল পারক্ষমকে হার মানায়।
কবিগুরু বৈশাখকে আহ্বান করেনঃ
"এসো হে বৈশাখ ! এস এস ,তাপস নিঃশ্বাস বায়ে ......।" কিন্তু বৈশাখ কে আহ্বান করে কোন কবিতা লিখেননি নজরুল । (অবশ্য, বৈশাখী ঝড় এর ব্যবহার তার একাধিক কবিতায় বিদ্যমান) কেন? আমার ব্যক্তিগত মত হল, নজরুল স্বয়ং ছিলেন বৈশাখের প্রতীক । তিনি নিজেই কালবৈশাখীর মত আবির্ভুত হন বাংলা কবিতায় । স্বয়ং কবি নিজেই তার বিখ্যাত কবিতা "বিদ্রোহী"তে ঘোষনা করেছেন : "আমি
ধূর্জটি , আমি এলোকেশে ঝড় অকালবৈশাখীর । " "Drive my dead
thoughts over the universe, কারণ , শেলীর বিশ্বাস যে, ঝড়
শুষ্ক পত্র ঝড়িয়ে দেয় ,সেই নবীন জন্মকে তরান্নিত করে । শেলী প্রকৃতির কাছ
থেকে এই জ্ঞান লাভ করেছেন-"The trumpet of a
prophecy! O Wind, If Winter comes, can Spring be far behind?"
"ধাও গান,প্রাণ ভরা ঝড়ের মতন র্ধব বেগে
"ধবংস দেখে ভয় কেন তোর?প্রণয় নুতন সৃজন
বেদন তখন বোঝা যায় দ্বান্দ্বিক দর্শনের সাথে তিনি সুপরিচিত। প্রথম স্তবকেই তাকে বলতে দেখি :
"তোরা সব জয়ধবনি কর "ঐ
সে মহাকাল সারথী রক্ত তড়িৎ চাবুক হানে , আমাদের দেশে বৈশাখে যেমন ঝড় হয় তেমনি আশ্বিনেও ঝড় হতে দেখা যায়। অবশ্য , আশ্বিনের ঝড়টা বৈশাখের মত অবশ্যম্ভাবী না । এজন্যেই ঝড়ের কথা উঠলেই মনে আসে বৈশাখী ঝড়ের কথা । কালবৈশাখী বলতে আমরা দুরন্ত ঝড়কেই বুঝি । কোন গতিশীল ধবংসাত্বক বিষয়ের উপমা দিতে তাই কবিরা উল্লেখ করেন কালবৈশাখীর । নজরুল এর ‘ভাষার গান’ এ দেখি-
"নাচে ঐ কালবৈশাখী আর রবীন্দ্রনাথ তার "পৃথিবী" তে লিখলেন- "বৈশাখে
দেখেছি বিদ্যুত্ চঞ্চুবিদ্ধ দিগন্তকে এখানে ঝড় ও বৈশাখ একাত্ব হয়ে প্রকাশ পেয়েছে । শেলীর "Ode To The West Wind" কিন্তু হেমন্েতর ঝড় (একে আশ্বিনের ঝড়ও বলা যায়) । কবিতাটির প্রথম পঙতি হল - O WILD West Wind, thou breath of Autumn's being; এখানে স্পষ্টভাবে হেমন্ত এর উল্লেখ আছে। সুতরাং শেলীর ঝড়টা বৈশাখের ঝড় নয় , আশ্বিনের ঝড়। নজরুলের ঝড়ের উপর লেখা দুটি কবিতা হল-'ঝড়ঃ পুর্ব তরঙ্গ '(কল্লোলে প্রকাশ শ্রাবন মাসে ১৩৩১ সালে ) ও 'ঝড়ঃ পশ্চিম তরঙ্গ' (বিষের বাশি কাব্যে ১৬ই শ্রাবন ১৩৩১ সালে তবে প্রথম প্রকাশ কল্লোল ২য় বর্ষ ৩য় সংখ্যায় ১৩৩১ সালের আষাঢ়ে)। শেলীর "Ode To The West Wind, রবীন্দ্রনাথের 'বর্ষশেষ'এবং নজরুলের 'ঝড়ঃপশ্চিম তরঙ্গ' এর রচনাকালের একটা সাদৃশ্য রয়েছে। শেলী তার কবিতা লিখেছিলেন ঝড়ের দিনে (তবে সেটা হেমন্ত এর ঝড়)। রবীন্দ্রনাথ এর 'বর্ষশেষ'কবিতার নিচে লেখা আছে ,১৩০৫ সালে ৩০চৈত্র ঝড়ের দিনে রচিত । আর নজরুল ইসলামের 'ঝড়ঃ পশ্চিম তরঙ্গ' লেখার শানে নুজুল সম্পর্কে প্রাণতোষ চট্রৌপাধ্যায় লিখেছেন -"এই বছরেই (১৯২৪) কবি কয়েকটি বিখ্যাত কবিতা ও গান লেখেন । তার মধ্যে ‘ঝড়ঃপশ্চিম তরঙ্গ’ কবিতাটি অন্যতম । .......... দীর্ঘ আট পৃষ্ঠা কবিতা ব্যাসিলরি দিসেনট্রি ও প্রবল জ্বরের মধ্যে তিন/চার ঘন্টা ধরে একাগ্র মনে লিখে আমাদের শুনিয়ে তবে তিনি বালিশে মাথা রেখে চোখ বুজলেন ।'' (হুগলীতে কাজী নজরুল ) বস্তত, শেলীর "Ode To The West Wind এর অনুসরনে বা অনুকরনে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল ঝড় ও বৈশাখ এর উপর একাধিক কবিতা লিখেছেন। এজরা পাউন্ডের সিলেকটেড পয়েমস এর ভুমিকায় এলিয়ট বলেছেন :'যথার্থ মৌলিকতা কবিতার উত্্কর্ষ সাধন '। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলামের কবিতাগুলির মৌলিকত্ব ঐ উত্্কর্ষ সাধন প্রচেষ্টার উপর নির্ভরশীল ।
|
|
2. Poem by
Kazi Nazrul Islam
|
|
3.
Poem by Tagore
|
|
4. song by tagore
-আকাশভরা সূর্য-তারা
|
|
5.
Ghost Story is here
|
|
6. | |
7 |